নারীর শান্তি ও নিরাপত্তা পর্দার আড়ালে, বাইরে নয়

আমাদের চিত্র এতটাই বিপর্যয় সমাজের চিত্র যদি আমরা দেখি তবে সর্বত্র দেখতে পাই অন্যায় অশান্তি ও সংসার ভাঙার ঘটনা তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার সেপার। পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা হাড়ের সৃষ্টির নারী জাতি। তারা এখন উৎপাত আরম্ভ করেছে যে, "থাকবো না আর বন্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে"



এই স্লোগান দেয় আর পর্দা ছেড়ে দিয়ে কলেজ ভার্সিটি দোকান-পাট, অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাটে বেপর্দায় বেরিয়ে পড়েছে। তাদের দেহে ধুলা-বালি পড়ছে তথা হাজারো যোবকের কুদৃষ্টি পড়ছে। যুবক আর ইভটিজার নামক মাছি বসছে। ফলে মাতৃ জাতিতে পচন ধরা শুরু হয়েছে তাই এখন সবাই অস্থির সংসারে শুধু অশান্তি আর অশান্তি। শান্তির লেশ মাত্রও নেই সমাজে। স্বামী বেচারা নিরুপায় হয়ে গেছে। ডাক্তার সাহেবের কাছে গিয়ে বলছে;

জনাব! আমার সংসারে বেহাল অবস্থা কি করা যায়। দিশা পাই না। ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি নেই। স্ত্রী কার সাথে সারাদিন শুধু মোবাইলে কথা বলে আমার সাথে তেমন মিল-মিশ নেই। ডাক্তার সাহেব বললেন এক দুই তিন তথা তিন তালাক দিয়ে অপারেশন করা ছাড়া এই ঘরে আর শান্তি আসবে না, অশান্তি চলতেই থাকবে।স্বামী বেচারা  কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অপারেশন করে এ হাড় ফেলে দিল। অর্থাৎ তিন তালাক দিয়ে দিল। এখন তো কেল্লা ফতেহ। 

বেচারা এবার মুফতি সাহেবের কাছে দৌড়ায়। জিজ্ঞেস করছে মুফতি সাহেবের কাছে তার কাহিনী। অবস্থা ও প্রশ্ন দেখে মুফতি সাহেব ফতোয়া দিলেন; যে অপারেশন সঠিক হয়েছে। অর্থাৎ ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী তিন তালাক হয়ে গেছে।

বলুনতো এখানে দোষটা কি মুফতি সাহেবের? না কিছুতেই নয়! এখন উল্টো মুফতি সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, এবং বলে; মুফতি সাহেব কেন এ ফতোয়া দিলেন আর সে যে জগত দেখতে গিয়ে পচে গেলো, যুবক নামক মাছিদের কে তার গায়ে বসতে দিল ওর কোন দোষ নেই, স্বামী তিন তালাক দিল এর কোনো দোষ নেই। উল্টো মুফতি সাহেবের দোষ। এবার আসি মূল কথায়;

মূল কথা হলো - পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা হাড়ের সৃষ্টি নারী হাড়ের মত পর্দার আড়ালে থাকতে হবে। তবেই তাদের দাম বাড়বে তারা শান্তিতে থাকবে। অন্যথায় সর্বত্র দুর্দশা, অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url