ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম। উপকারিতা ও অপকারিতা

পিল একটি স্বল্প মেয়াদী এবং আধুনিক কার্যকরী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে জন্মবিরতী করন বিভিন্ন পিলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশে ফেমিকন পিল - femicon pill এর দাম কম হয়াই এর বেশ সুনাম রয়েছে, এবং এটার বেশি মাত্রায় ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। প্রত্যেকটি ফার্মেসিতেই এই femicon পিল থাকে এবং কেনা যায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে femicon খাবার নিয়ম, femicon খাওয়ার উপকারিতা ও femicon এর অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব

femicon/ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম। উপকারিতা ও অপকারিতা

ফেমিকন কি - what is femicon? 

femicon পিল হচ্ছে বাংলাদেশের একটি এম এম সি কোম্পানির ব্র্যান্ড। মূলত একটি কমডোসের স্বল্প মেয়াদী গর্ভনিরোধক পিল যা মহিলাদের বাচ্চা না হওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়। 

ফেমিকন - femicon এর উপকরণ

ফেমিকন পিলের সাদা পিলে রয়েছে ০.৩০মিলিগ্রাম ও ইথালিন ইনস্ট্রাডিওল ০.০৩ মিলিগ্রাম। 

আর প্রতিটি বাদামি বা খয়রি রংয়ের পিলে রয়েছে ৭৫.০ ফেরাস ফিউমারেট মিলিগ্রাম

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম

এবার আসি ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম কি জেনে আসি। ফেমিকোন এর এক প্যাকেটে ২৮ টা পিল থাকে, যেখানে ২১ টি সাদা এবং সাতটি খয়রি বা বাদামি কালারের বড়ি। মেয়েদের মাসিক পিরিয়ড শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে femicon pill টি খাওয়া শুরু করতে হবে এবং প্রতিদিন একটি করে ২১ দিন পিল খেয়ে যেতে হবে এবং ২২ তম দিন থেকে খয়েরি রং এর পিল খাওয়া শুরু করবে। স্বামী স্ত্রী যতদিন পর্যন্ত বাচ্চা নিতে না চায় ততদিন পর্যন্ত এই পিল খেতে থাকবে। প্রতিদিন সহবাস না করলেও এই পিল খেতে হবে । যদি কোনদিন পিল খেতে ভুলে যায় তবে পরের দিন দুটো পিল একসাথে খেয়ে নিবে। এবং যে সময় বাচ্চা নিতে চায় সে সময় পিল খাওয়া ছেড়ে দেবে।

ফেমিকন খাওয়ার উপকারিতা

femicon pill একটি স্বল্পমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এর দ্বারা যেমন বাচ্চা হয় না, তেমনি মেয়েদের মাসিকের নানান সমস্যা ও দূর হয়। যারা বিয়ের পর অল্প কিছুদিন বাচ্চা নিতে চায় না তারা এই স্বল্প মেয়াদ এর ফেমিকন পিল দিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে।

ফেমিকন পিল এর ঝুঁকি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ফেমিকনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে কিন্তু যারা প্রথম প্রথম খাওয়া শুরু করে তাদের কয়েকজনের মাথা ঘোরানো, পেটে ব্যথা, পিল খাওয়া খাওয়াকালীন সময় পিরিয়ডের সাথে রক্ত ফোটা করে আসা এসব হতে পারে কিন্তু একটানা ২-৩ মাস খেলে সব কিছু ঠিক হয়ে যায় কিন্তু যাদের এটা দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকে, তাদের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

যে সময় ফেমিকন পিল খাওয়া উচিত না

যদি কেউ গর্ভবতী হয়ে থাকে তবে তার femicon pill খাওয়া উচিত না, আর যেসব মহিলাদের ৪৫ বছরের উপরে হয়ে গেছে তাদের এ পিল খাওয়া উচিত না, এবং যাতের হার্টের সমস্যা লিভারের সমস্যা স্তনের মধ্যে শক্ত কিছু অনুভব করে মাথা ঘুরায়, হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ তাদের এমন ধরনের পিল খাওয়া উচিত না এমনকি যাতের জন্ডিস তাদেরও ফেমিকন পিল ব্যবহার করা উচিত না।

ফেমিকন পিলের দাম

femicon pill এর প্রত্যেক প্যাকেটের দাম ৩০ টাকা করে ‌


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url