সরকার নয়। সংবিধান পরিবর্তন চাই




আজ আমরা তাই করছি রান্দা পরিবর্তন না করে শুধু মিস্ত্রি পরিবর্তন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছি। যেমন, একদল ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পর আরেক দল মাথা উঠিয়ে বলে এদের দ্বারা দেশের শান্তি আসতে পারে না, এদেরকে সরাতে হবে, এবার জাগতে হবে। 

বিভিন্ন মিছিল মিটিং করে চিল্লাচিল্লি করে সকলকে ঘুম থেকে জাগায় ঘুমানোর সময় দেখেছে চাউলের কেজি ১০ টাকা এখন ঘুম থেকে জেগে দেখে চাউল এর কেজি 15 টাকা কিছুদিন পর জনগণ আবার ঘুমিয়ে পড়ে। আরেক দল মাথা উঠিয়ে বলে- এবার জাগতে হবে। মিছিল মিটিং করে সকলকে জাগায়। বাঙালিরা এবার জেগে দেখে; চালের কেজি ২০ টাকা। দুই চার দিন পর আবার ঘুমায়। আরেকদল মাথা উঠিয়ে বলে এবার জাগতে হবে। অতঃপর চেঁচামেচি আর মিছিল-সমাবেশ করে তাদেরকে আবার জাগায়। এবার জেগে দেখে চাউলের কেজি পঁচিশ টাকা। 

এখন অনেকের কিছুটা বুঝে এসেছে তাই তারা বলছে বাবারে আর জাগার দরকার নেই জাগলেই ৫ টাকা করে দাম বেড়ে যায় ঘুমিয়ে থাকি এটাই ভালো। দাম বাড়বে না এক অবস্থায় থাকবে।

আসলে যারা "জাগতে হবে" "এবার থাকতে হবে" বলে শ্লোগান দেয় এবং সকলকে ঘুম থেকে জাগায়, তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু শান্তি নয়। উদ্দেশ্য হলো; নিজেদের পেট ভরা জনগণের সেবা উদ্দেশ্য নয়। আমরা এক দলের পর একদল পরিবর্তন করে ক্ষমতায় বসাই। শান্তি বাড়ছে না বরং অশান্তি বাড়ছে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর মিস্ত্রি পরিবর্তন তো চলছে কিন্তু শান্তির পরিবর্তে অশান্তি বেড়ে চলছে। কারণ, যারা এই ক্ষমতায় আসে এই সংবিধান দিয়েই তো দেশ পরিচালনা করছে তাই শান্তি আসছে না অশান্তি বেড়েই চলছে সংবিধান পরিবর্তন করলে কিন্তু হয়ে যেত। 

সুতরাং মানব রচিত সংবিধান বাদ দিয়ে খোদা প্রদত্ত সংবিধান কোরআন হাদিস দিয়ে দেশ পরিচালনা করলে এমনিতেই শান্তি চলে আসবে মিটিং মিছিল আর সমাবেশের কোন প্রয়োজন পড়বে না ইনশাআল্লাহ।

এজন্য হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহমতুল্লাহি বলেছেন- মন্ত্রী পরিবর্তন করে কোন লাভ হবে না। মন্ত্র তথা- সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। আজ আমরা প্রতি পাঁচ বছর পর মন্ত্র পরিবর্তন করার চিন্তা না করে মিস্ত্রি তথা সরকার পরিবর্তন করারা ফিকিরে লেগে গেছি। এগুলো সব বিজাতী় থেকে আমদানিকৃত সভ্যতা ও গরিব শোষণের হাতিয়ার মাত্র।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url