মেয়েদের বুদ্ধি কম। বিজ্ঞান কি বলে


সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গবেষণা করে বের করেছেন যে- আমরা যে বহু কিছু ব্রেনে সংরক্ষণ করে রেখেছি তাতে কত পুরাতন কথাবার্তা, ঘটনা সংরক্ষিত আছে। বুঝার সুবিধার্থে বলছি- এগুলো সংরক্ষণের জন্য আমাদের ব্রেনের ভেতর সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনেকগুলো বাক্স আছে, ভেতরে থাকে সমস্ত কথাবার্তা গল্প কাহিনী ও ঘটনাবলী। 



ছবি: সংগ্রহীত


কোন ঘটনা ঘটলে ব্রেনের মধ্যে যে বাক্স আছে তাতে ঢুকে পড়ে। ওই বক্সগুলোর আবার দরজা আছে। দরজা বন্ধ করে ফেললেই ঘটনাটি সংরক্ষিত হয়ে যায়। যদি কদিন পর পর আমরা এই ঘটনাটি পুনরাবৃত্তি করতে থাকি তাহলে দরজা খুলে ঘটনাটি বের হয় এরপর আবার ভেতরে ঢুকে পড়ে আর দরজা বন্ধ হয়ে যায়।


ঘটনাটি ৫০ বছর পর্যন্ত বলার কোন প্রয়োজন বা সুযোগ হয়নি। ৫০ বছর পর পর বলার প্রয়োজন হয়েছে কিন্তু মনে আসে না। কারণ, বাক্সের ওই দরজাটি এমনভাবে জ্যাম হয়ে গেছে যে এখন আর খুলতে চায় না। এ কারণে ঘটনাটি মনে আসে না। ব্রেনের উপর জোর করে অনেক চাপ দেয়ার পরেও মনে আসতে চায় না। এভাবে ব্রেনের উপর চাপ দিতে দিতে হঠাৎ করে স্মরণ হয় অর্থাৎ ব্রেনের দরজা গুলো খুলে যায় আর ঘটনাটি বের হয়ে আসে।

দেখবেন কোন লোহার দরজা যদি প্রতিদিন কয়েকবার করে খোলা হয় তাহলে প্রয়োজন সময় আস্তে ধাক্কা দিলেই দরজাটি খুলে যায়। পক্ষান্তরে যদি কোন দরজা 50 বছর পর পর্যন্ত খোলা না হয় তাহলে ১০-১২ জন মিলে সজোরে ধাক্কা দিলেও দরজা সঠিক ভাবে খোলে না। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলেও দরজা খোলা সম্ভব হয় না। কারণ, দরজায় মরিচা পড়ে জ্যাম হয়ে গেছে।

আমাদের ব্রেনেও একই অবস্থা। বাক্সগুলোর মধ্যে ঘটনাবলী কথাবার্তা শিক্ষাদিক্ষা সংরক্ষিত থাকে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে সেগুলোর সংখ্যা বের করেছেন যে, একজন মহিলার ব্রেনের বাক্স একজন পুরুষের তুলনায় কমপক্ষে ৪০০ কোটি কম। মহিলাদের তুলনায় পুরুষের ব্রেনের ওই বাক্সের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০০ কোটি বেশি। এর চেয়ে আরো বেশিও থাকতে পারে। 

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা একথা পরিষ্কার হয়ে গেল যে ব্রেনের দিক দিয়ে নারী জাতি পুরুষের তুলনায় দুর্বল আর দুর্বলের অধিকার বেশি থাকে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নারীদেরকে পুরুষের তুলনায় অধিকার বেশি দিয়েছেন। পুরুষ ব্রেনের দিক দিয়ে অধিক সবল তাই পুরুষকে দায়িত্ব বেশি দিয়েছেন।

প্রশ্ন হতে পারে যে, যদি নারীর বোঝ বুদ্ধি কমই হয়ে থাকে তাহলে বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকালে দেখা যায়- ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফলাফল ভালো এবং মেধা তালিকা মেয়েদের সংখ্যা বেশি দেখার যায়, এতে তো বুঝা যায় নারীর বুঝ বুদ্ধি বেশি।

তো একটি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করি। খরগোশ প্রতিযোগিতা দিয়েছিল দৌড়ে কে কার আগে যেতে পারে। দুজন একসাথে রওনা করে। কচ্ছপ আপন গতিতে ধীরে ধীরে চলছে। আর খরগুশ দৌড়ে মুহূর্তের মধ্যে আধা পথ পৌঁছে যায়। আধা পথে পৌঁছার পর তাকে অলসতায় পেয়ে বসে সে ভাবলো- যে কচ্ছপ তো অনেক পেছনে রয়েছে তার আসতে অনেক দেরি হবে। এই ফাঁকে আমি একটু আরাম করে নেই। খরগোশ আরাম করছে আর নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। এ সুযোগে কচ্ছপ পৌঁছে যায়। খরগোশ ঘুম থেকে উঠে দেখে খরগোশ পৌঁছে গেছে। পরীক্ষা কচ্ছপকেই জিতছে বলে নাম্বার দিয়ে দিল।

বলুন তো এখানে কচ্ছপ জিতেছে বলে কি কচ্ছপ খরগোশ এর থেকে এগিয়ে? না মুটেও না বরং খরগোশ তার অলসতার কারণে হেরে গেছে কিন্তু খরগোশ কচ্ছপ থেকে সৃষ্টি গত দিক দিয়েই এগিয়ে।
ঠিক তেমনি ছেলেরা সহশিক্ষার জালে পড়ে, প্রেম প্রীতি করছে। মোবাইল আর ইন্টারনেট নিয়েই থাকে। তাই এই সুযোগ মেয়েরা এগিয়ে যায়।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url