জ্বালানির দাম ২০২২। ও জনসাধারণে এর প্রভাব
বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে অকটেন ৮৯ টাকা থেকে এখন ১৩৫ টাকা। পেট্রোল ৮৪ টাকা থেকে এখন ১৩০ টাকা। ডিজেল ৮০ টাকা এখন ১১৪ টাকা। কেরোসিন ৮০ টাকা থেকে এখন ১১৪ টাকা।
বাংলার ইতিহাসে এরকম স্ফীতি জ্বালানির দামে, এর আগে এরকম হঠাৎ করে পরিলক্ষিত হয়নি। জ্বালানির দামের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ ও আমাদের মত মধ্যবিত্তদের উপর বাড়তি অর্থনৈতিক বেসামাল চাপ। "জ্বালানির দাম" এর ফশ্রুতিতে বাড়তি বাস ভাড়া তো আছেই। সাধারণ মানুষ এখন বিপর্যোস্থ । জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা জিনিসের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে দেশের কি হাল হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। মানুষের জীবন-যাপনেও এর প্রভাব প্রকট। মোট কথায় সর্বক্ষেত্রে পড়ছে এর প্রভাব। ক্রেতাদের অভিযোগ- তেলের দামের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই। এদিকে আবার বিক্রেতাদের অভিযোগ যে, পণ্যের দাম বাড়ায় বিক্রিও তেমন হচ্ছে না বলে । একজন বলছে ঘুম থেকে উঠে পরের দিন বাজারে গিয়ে দেখি হুট করে পণ্যের এত দাম বিক্রেতা বলছে জ্বালানির দাম বাড়ায় রাতারাতি সব কিছুর মূল্য বেড়ে ডাবল হয়ে গেছে দাদা ভাই। দ্বিগুণ মূল্য ক্যালকুলেশন করতে হচ্ছে জনগণকে। সাধারণ মানুষের যে কিছুই করার নেই। অন্যদিকে কোথাও যেতে হলে আমরা আর আগের ভাড়ায় যেতে পড়বো না। জ্বালানির দাম বেসামাল হওয়ায় বাড়ছে হু হু করে গণপরিবহন ভাড়া। জানা কথা দেশের অধিকাংশ বাস ট্রাক ইত্যাদি ডিজেল দ্বারা চলে সুতরাং বাস ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগের সীমা ও অতিসিমা ক্রস করে প্রন্তকান্তে। আর ভাড়া বাড়ানো ছাড়া পরিবহন মালিকদের অন্য কোনো উপায়ও নেই। আবার বিভিন্ন স্থানের বাস বন্ধ হওয়ায় যাতায়াত হয়ে পড়ছে পেরেশানির কারণ। কেরোসিন তেল এর দাম বাড়ায় দেশের গ্রামীণ ও চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষদের বিভিন্ন দুর্ভোগ। এতে যেনো তাদের চলমান কষ্ট আরো এক ধাপ বাড়লো। জ্বালানির দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়ছে কৃষকদের উপরও যার ফলে চাল-ডাল থেকে নিয়ে নিত্যপণ্য সর্বহারে বাজারে চড়া মূল্যে বেড়ে যাচ্ছে। করোনায় এমনিতেই মানুষের অনেক বিপর্যয় গেছে। সাধারণ মানুষের উপর দিয়ে বেহাল অবস্থা যাচ্ছে। দরিদ্রদের জন্য এটা একটা পরীক্ষা কারো হয়তো দিনে দু বেলায় খেয়েই তৃপ্তি থাকতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যেখানে মানুষের ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মজীবী শ্রমজীবী মানুষ গুলো যখন নিজেদের চালানোই কষ্ট সাধ্য সেখানে এরকম ভাবে মানুষের উপর নির্দয়ের আচরণ কিভাবে করে। মানুষ চায় সরকার বিষয়টা আবার বিবেচনা করবে।
