আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য


আশুরা শব্দের অর্থ-

আশুরা মনেই যেনো আমাদের কাছে কারবালা। কিন্তু আসলে আশুরা চন্দ্র বছরের প্রথম মাস মুহাররমের দশম তারিখ। আশুরা শব্দটি আরবী "আশারুন" মানে দশ থেকে উদ্ভূত। শব্দিক অর্থের দিকে তাকালে মাসের প্রত্যেক দশম তারিখকে আশুরা বলা হয়। কিন্তু ইসলামী শরিয়ায় এটি একটি পরিভাষা। মুহররম মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলা হয়। অনেকের মতে এই দিনের সঙ্গে ঐতিহাসিক দশটা ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। তাই একে আশুরা বলা হয়। দিনটি পবিত্র বলে একে পবিত্র আশুরা বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বারটি মাসের মধ্যে চারটি মাসকে সম্মানিত করেছেন; জিলক্বদ, জিলহজ, মহাররম ও রজব। এই চার মাসকে আল্লাহতালা অন্যান্য মাসের উপর শ্রেষ্ঠ প্রদান করেছেন ও সম্মানিত করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন- নিশ্চয়ই আসমান ও জমিন সৃষ্টির পর থেকে আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারোটি, তন্মধ্যে চারটি মাস হারাম বা সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের উপর জুলুম করে না।

আশুরার ফযীলত

আরবী বারো মাসের মধ্যে চারটি মাস হারাম বা সম্মানিত জিলক্বদ, জিলহজ্ব, মহররম, ও রজব। আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে আরবরা মুহররম মাসকে "সফরুল আওয়াল" তথা প্রথম সফর নাম রেখে নিজেদের ইচ্ছা মত যুদ্ধকে হালাল হারাম করতো। আল্লাহ তায়ালা এই সিস্টেম বাতিল করে ইসলামী নাম রেখেছেন - আল-মহাররম। তাই গুরুত্বের খাতিরে মুহররম মাসকে "শাহরুল্লাহিল মুহররম" তথা আল্লাহর মাস বলা হয়েছে। আশুরার দিন অতিঅবশ্বই একটি গুরুতবপূর্ণ দিন। এই দিন আমাদের কে এক ঐতিহাসিক ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দ্বীন হেফাজতের উদ্যেশে ও হক প্রতিষ্ঠার এক মহান দিন।
আর এই জন্যই এই দিনটিকে বিশেষ এবাদত তথা রোজার সাথে স্মরণ করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
একাধিক সহীহ হাদিস দ্বারা সুস্পষ্ট যে, মুসা আলাইহিস সালাম ও তার জাতি বনি ইসরাইল ফেরাউন এর অত্যাচার ও নিষ্পেষণের জাতাকল ও গোলামী থেকে মিশর ছেড়ে নীল নদ পার হয়ে এই দিনে নাজাত পেয়েছিলেন। তাই শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এই দিনে রোযা রাখতেন। পরবর্তীতে বনি ইসরাইলরাও রোজা রাখতো। মূল কথা হলো এই দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক। তাই সবার নিকট উদাত্ত আহবান এই যে এইদিনে এবাদত বন্দেগিতে লিপ্ত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সচেষ্ট হই। আমিন
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url