কিশমিশের যাদু।
বাঙালির খাবারের প্রিয় একটি অংশ হলো- কিশমিশ বা কিসমিস। আঙ্গুর শুকালে সেটাকে কিশমিশ বলে ইংরেজিতে রেইসিন বলে। প্রাচীনকাল থেকেই আয়রনের চমৎকার উৎস হিসেবে চলে আসতেছে।
কিশমিশ শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলে। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আনা যদিও কঠিন তবে প্রাকৃতিক উপায়ে ভিজা কিশমিশ এর মাধ্যমে weight loss অনেকাংশে সম্ভব।
শুকনো কিশমিশ খাওয়ার পরিবর্তে যদি আমরা ভিজে কিসমিস খায় তবে এর বেশি উপকার পাব কিশমিশ ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কিশমিশে মূলত রয়েছে খনিজ, এন্টিঅক্সিড্যান্টেস ও অন্যান্য খাদ্য তালিকাগত ফাইবার পুষ্টি। এটি প্রাকৃতগত ভাবেই মিষ্টি এবং ক্যালরিতে উচ্চ তবে যদি আমরা কিশমিশ পরিমাণ মতো খাই, তবে তাতে রয়েছে অনেক উপকারিতা কিসমিস হজমে সাহায্য করে। আয়রনের মাত্রা বাড়াতে ও হারকে মজবুত রাখতে পারে কিসমিস। সাধারণত আমরা কিসমিসকে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন পায়েশ সুস্বাদু কুকিস সেমাই মধ্যে দিয়ে থাকি। আজকে আমরা জানব কিসমিসের উপকার এবং অপকার আর খাবার নিয়ম সম্পর্কে।
কিসমিসের উপকারিতা
১. ওজন বাড়াতে চাইলে কিসমিস খান।
সবাই ওজন কমাতে চায় না এমন অনেক লোক আছে যারা প্রাকৃতিক ভাবে ওজন বাড়াতে চায়। কিসমিসের রয়েছে ফুকটোজ ও গ্লুকোজ। যা মানুষকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি দেয় এটা সিস্টেমের খারাপ কোলেস্টেরল না বাড়িয়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওজন বাড়াতে কিসমিস হতে পারে আপনার সেরা বন্ধু।
২. ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।
কিসমিসে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন থাকে। যা শরীরের মধ্যে ভেসে বেড়ানো ফ্রি রেডিকল গুলো কে নিঃশেষ করে দেয়। কিসমিস রোজকার খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরে কাটেচিনের মত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে বা যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের শরীরে বৃদ্ধির মাত্রা খানিকটা হলেও কমিয়ে দেয়।
৩. কিসমিসের রয়েছে বুরন।
যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। বুরন দেন বাড়াতে সাহায্য করে ফলে যে কোন কাজে অতি সহজেই মনোযোগ পারে বিশেষ করে একটি বাচ্চাদের পড়াশুনাতে মনোযোগী করে তুলতে পারে।
৪. ঘুমাতে সাহায্য করে।
কিসমিসে লোহার মতো এক প্রয়োজনীয় পুষ্টি আছে যা মানুষকে অনিদ্রা কাটিয়ে শান্তির ঘুম দিতে পারে ।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন ,খনিজ পুষ্টি, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফ্যালন যৌগ যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কিসমিসের অপকারিতা
১. কিসমিস এলার্জি সমস্যা বাড়াতে পারে।
তাই যাদের মধ্যে এলার্জি তারা কিসমিস খাবেন না।
২. ডায়েবেটিস।
যাদের ডাইবেটিস তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেতে পারবেনা। কেননা, এতে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
৩. ওজন বাড়াতে পারে।
একজন মানুষ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খায় তাহলে তার ক্যালারির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে যা শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪. বদ হজম হতে পারে।
অতিরিক্ত কিসমিস খেলে খাবার হজম সমস্যা হতে পারে। তাই পরিমাণের অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া ঠিক না।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম।
কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে- সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন ভোরে খাওয়া ভেজানো কিসমিসে থাকে আইরন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার যাদের হাই ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা তারা এটি রোজ খাবারের মধ্যে রাখতে পারে এতে করে তাদের এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সুতরাং কিসমিস আমাদের জন্য যেমন উপকারী তেমনই অপকারী যদি আমরা কিসমিসের সঠিক খাওয়ার নিয়ম অনুসারে খেতে পারি তাহলে, আমাদের জন্য যেমন উপকার হবে ঠিক যদি বেশি মাত্রায় খাই তবে এর বিরূপ প্রভাব পরবে।
ডিসক্লেইমার.
এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। এটি গ্রহণ করার পূর্বে, অবশ্য ডাক্তারের পরমর্শ নিন।
