স্বামীকে ভুলেও যেসব কথা বলবেন না
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মত হয়ে থাকে । তারা সব সময় নিজেদের দুঃখ কষ্ট ভালো লাগা খারাপ লাগা সবকিছু নিজেদের মধ্যে বলে থাকে। আর ভালো স্বামী স্ত্রী কখনো অভাব অনটন দুঃখ-কষ্টের সময় কেউ কাউকে ছেড়ে চলে যায় না। কিন্তু বৈবাহিক জীবন যাতে সব সময় সুখে থাকে যাতে দাম্পত্য জীবনে কোন অশান্তি না হয় সেজন্য আমাদের কিছু না কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
অনেকে একথাও বলে থাকে যে সম্পর্ক টিকাতে অনেক সময় অনেক ছোট ছোট মিথ্যা বলতে হয় অবশ্য সেরকম মিথ্যা না যা অন্যের ক্ষতি করবে বা যা একদমই ছোট বিষয়। আপনি আপনার স্বামীকে সব কথা বলবেন এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু কয়েকটি কথা কখনো স্বামীকে বলা ঠিক না। কেননা এতে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে আর তখন আপনার হাতে কিছুই করার থাকবে না ইচ্ছা থাকলেও আপনি তখন কিছুই করতে পারবেন না।
আপনার স্বামীর কাছে তার প্রাক্তনের কথা টেনে তুলবেন না।
স্বামীর প্রত্যেকটা কাজে প্রত্যেকটা বিষয়ে স্ত্রীর মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে কিন্তু কিছু বিষয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
তার খুঁটিনাটি হিসাব না নেওয়া।
বিয়ে করেছেন বলে যে তিনি তার শখ আহ্লাদ বাদ দিয়ে টাকা জমা জমাবেন এমনটা কিন্তু নয় তবে খেয়াল রাখবেন যাতে বাড়তি কোনো খরচ যাতে না হয়।
গোপন কথা না বলা।
ছোট কথাকে বড় না করা।
শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে সমালোচনা না করা।
কারণ-
সেই বাড়ির সব সদস্যই তার আপনজন । বিশেষ করে আপনার শ্বশুর শাশুড়ি অর্থাৎ আপনার স্বামীর বাবা-মা তার কাছে সবচেয়ে আপনজন। আর তাই-
আপনি যদি আপনার স্বামীর কাছে তার বাবা মার নামে মন্তব্য করেন। বা কোন খারাপ কথা যদি বলেন তবে; সেটি তিনি ভালোভাবে নাও নিতে পারেন। আর সন্তানের চোখে বাবা মার কোন ভুল ধরা পড়ে না বললেই চলে।
আর তাই আপনার শশুর শাশুড়ির যদি কোন ভুল থাকে তবে আপনার স্বামীকে তা বুঝানো সম্ভব নাও হতে পারে তাই আপনি যদি তার বাবা-মা নিয়ে এটা সেটা বলেন তাহলে সংসারে অশান্তি আসতে সময় লাগবেনা।তাই বলে সবকিছু যে মুখ বুজে মেনে নিবেন তা কিন্তু নয়; বরং হালকা ভাবে আপনার সমস্যার কথা আপনার স্বামীকে বলে বুঝাতে পারেন আর আপনি যে সংসারে অশান্তি চান না তাও বলতে পারেন।
