স্বামীকে ভুলেও যেসব কথা বলবেন না



Couple love
 💖Couple love💖



স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মত হয়ে থাকে । তারা সব সময় নিজেদের দুঃখ কষ্ট ভালো লাগা খারাপ লাগা সবকিছু নিজেদের মধ্যে বলে থাকে। আর ভালো স্বামী স্ত্রী কখনো অভাব অনটন দুঃখ-কষ্টের সময় কেউ কাউকে ছেড়ে চলে যায় না। কিন্তু বৈবাহিক জীবন যাতে সব সময় সুখে থাকে যাতে দাম্পত্য জীবনে কোন অশান্তি না হয় সেজন্য আমাদের কিছু না কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।


নেকে একথাও বলে থাকে যে সম্পর্ক টিকাতে অনেক সময় অনেক ছোট ছোট মিথ্যা বলতে হয় অবশ্য সেরকম মিথ্যা না যা অন্যের ক্ষতি করবে বা যা একদমই ছোট বিষয়। আপনি আপনার স্বামীকে সব কথা বলবেন এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু কয়েকটি কথা কখনো স্বামীকে বলা ঠিক না। কেননা এতে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে আর তখন আপনার হাতে কিছুই করার থাকবে না ইচ্ছা থাকলেও আপনি তখন কিছুই করতে পারবেন না।

গড়ার সময় আমরা একে অপরকে কষ্ট দেওয়ার জন্য অনেক ছোট বড় কথা বলে থাকি। তখন ঝগড়ার সময় নিজেদের একটা জেতার ইচ্ছা কাজ করে কিন্তু; কোন মুহূর্তেই 
আপনার স্বামীর কাছে তার প্রাক্তনের কথা টেনে তুলবেন না।
এতে  আপনার স্বামীর মনে আপনাকে নিয়ে খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে আর সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে এমনকি এ কথার কারনে আপনার সুখের দাম্পত্য জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

স্বামীর প্রত্যেকটা কাজে প্রত্যেকটা বিষয়ে স্ত্রীর মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে কিন্তু কিছু বিষয় এড়িয়ে চলাই ভালো। 

তার খুঁটিনাটি হিসাব না নেওয়া।
বিশেষ করে স্বামী কোথায় টাকা খরচ করছেন। স্বামী কোথায় যাচ্ছেন কি করছেন সেসব বিষয় এড়িয়ে চলা ভালো।

বিয়ে করেছেন বলে যে তিনি তার শখ আহ্লাদ বাদ দিয়ে টাকা জমা জমাবেন এমনটা কিন্তু নয় তবে খেয়াল রাখবেন যাতে বাড়তি কোনো খরচ যাতে না হয়।

গোপন কথা না বলা। 
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক স্বচ্ছতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে যে প্রতিটি কথাই স্বামীকে বলতে হবে এমন কোন কথা নেই।
আপনার কাছে আপনার কোন বন্ধু বা পাড়া-প্রতিবেশীর কেউ আপনার কাছে তার কোন গোপন কথা শেয়ার করতে পারে সেসব কথা যে স্বামীকে বলতে হবে তার কোন মানে নেই।
কারণ- 
আপনার স্বামী যদি সে গোপন কথাটি গোপন না রেখে তার বন্ধুদের সঙ্গে সমালোচনা করে তখন আপনাদের সম্পর্কে ফাটল ধরবে। 

ছোট কথাকে বড় না করা। 
স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতে পারে যেহেতু দুজন একসাথে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি কথা এভাবে না বলেও অন্যভাবে এ সমস্যার মোকাবেলা করতে পারেন। তাকে বলতে পারেন; যে এখন নয়। পরে এই বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলব। একটু সময় দাও। 
Then তাকে পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলুন দেখবেন; অনেক সহজেই মানুষটিকে বুঝাতে পারবেন যার ফলে সংসারে অশান্তি হবে না এবং দাম্পত্য জীবনের মধ্যে কোন প্রভাব ও পড়বে না।

রেকটা বিষয় হচ্ছে আপনার শশুর বাড়ি আপনার সুখী থাকার অন্যতম কারণ। তাই-
শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে সমালোচনা না করা।
আপনার শ্বশুর বাড়ি হলেও সেটি আপনার স্বামীর নিজের বাড়ি আর নিজের বাড়ির বদনাম কোন মানুষ সহ্য করতে পারে না তাই শশুর বাড়ির বদনাম করলে আপনার স্বামী রেগে যেতে পারেন এটাই স্বাভাবিক

কারণ-

সেই বাড়ির সব সদস্যই তার আপনজন । বিশেষ করে আপনার শ্বশুর শাশুড়ি অর্থাৎ আপনার স্বামীর বাবা-মা তার কাছে সবচেয়ে আপনজন। আর তাই- 

আপনি যদি আপনার স্বামীর কাছে তার বাবা মার নামে মন্তব্য করেন। বা কোন খারাপ কথা যদি বলেন তবে; সেটি তিনি ভালোভাবে নাও নিতে পারেন। আর সন্তানের চোখে বাবা মার কোন ভুল ধরা পড়ে না বললেই চলে। 

আর তাই আপনার শশুর শাশুড়ির যদি কোন ভুল থাকে তবে আপনার স্বামীকে তা বুঝানো সম্ভব নাও হতে পারে তাই আপনি যদি তার বাবা-মা নিয়ে এটা সেটা বলেন তাহলে সংসারে অশান্তি আসতে সময় লাগবেনা।

তাই বলে সবকিছু যে মুখ বুজে মেনে নিবেন তা কিন্তু নয়; বরং হালকা ভাবে আপনার সমস্যার কথা আপনার স্বামীকে বলে বুঝাতে পারেন আর আপনি যে সংসারে অশান্তি চান না তাও বলতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url