কিভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না

দেশে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ক্রমশ বাড়ছে । ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো শুরু অবস্থায় নির্ণয় করা না গেলে পরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে । করোনা সময়ে জ্বর যে শুধু করোনায় হয় তা কিন্ত নয় বরং ডেঙ্গুতেও জ্বর হতে পারে যাকে ডেঙ্গু জ্বর বলে। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হন। যদি সঠিভাবে ডেঙ্গু জ্বরের বা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো বের করতে না পারে।

কিভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না

এই সময়ে জ্বর হলে বিচলিত হবার কোন কারন নেই । বরং উদ্বিগ্ন না হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

তবে কিছু লক্ষণ আছে যেগুলার মাধ্যেমে আপনি নিজেই নির্ণয় করতে পারবেন যে আপনি ডেঙ্গু রোগে ভুগছেন কি-না। চলুন এবার জেনে আসি; ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো কি কি।

ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কি কি?

👉 ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত শরীর কঠিন জ্বর প্রচুর ব্যাথা হয়ে থাকে ।

👉 এই সময় ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ১১৫ ফারেনহাইট হয়ে থাকে ।

👉 পেট ব্যাথা হতে পারে ।

👉 ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের ফলে শরীরের হাড়-গোর বিশেষ করে পিঠ, কোমর, ও মাংসপেশিতে ব্যাথা অনুভব হতে পরে।

👉 মাথা ব্যাথা ও চোঁখের পিছনে ব্যাথা অনুভব হতে পারে।

👉 ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের নাম ব্র্যাক বন ফেভার।

👉 ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার ৪-৫ দিনের পর ঘামাচির মত এক ধরনের লাল দানা দেখা যায়। যাকে বলে স্কিন রেস।

👉 বমিও হতে পারে 

👉 ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন ও রুচি কমতে থাকে।

👉 সাধারণ এই জ্বর ৪ বা ৫ দিনে চলে যায়। ২ বা ৩ দিন পর আবার আসতেও পারে ।

ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের লক্ষণ।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরে ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল জ্বরের পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-

👉 শরীর থেকে রক্ত বের হতে পারে। নাক, মুখ, কফ, দাত, ও পায়খানার রাস্তা দিয়া।
নারীদের ক্ষেত্রে অসময়ে মাসিক হওয়া। আবার কোন নারির মাসিক শুরু হলে দেরিতে বন্ধ হওয়া।

👉 এই ডেঙ্গু জ্বরের কারনে অনেক সময় বুকে বা পেতে পানি উঠতে পারে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে লিভারে আক্রান্ত হয়ে জন্ডিস হতে পারে।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম
ডেঙ্গু রোগের আরেকটা ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গু শক সিনড্রোম । ডেঙ্গু হেমোরেজিক রোগের সঙ্গে সর্কুলেটরি ফেলিওর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়
এর লক্ষণ গুলো হল-

👉 রক্তচাপ কমে যাওয়া ।

👉 হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া ।

👉 প্রসাব কমে যাওয়া।

👉 রোগীর হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে যেতে পারে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন।
যদিও ডেঙ্গু রোগের নির্ধারিত চিকিৎসা নেই । এই রোগ সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই লক্ষণ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যোথেষ্ট। তবে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। যেমন -
👉 শরীর থেকে রক্ত বের হলে ।

👉 প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে ।

👉 শাসকষ্ট হলে ।

👉 পেট ফুলে পানি আসলে

👉 প্রসবের পরিমাণ কম হলে

👉 অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হলে ।

ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। তরল খাবার খেতে হবে । এ ছাড়া গ্লুকুজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাব ইত্যাদি খেতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url